Home > Author > Samaresh Majumdar
1 " পৃথিবী থেকে প্রিয় কোনো মানুষ অকস্মাৎ সরে গেলে যে অন্ধকার নেমে আসে তার স্থায়িত্ব কতটুকু? কারো কারো হয়ত শ্মশান থেকে বেরিয়ে আসার পরেই তা দূর হতে আরম্ভ করে,কেউ সারাজীবন মনের আনাচে কানাচে তাকে আঁকড়ে থাকেন। তবু যে কোনো চলে যাওয়া মানে জলের বুকে গর্ত খোড়া, যা পর মুহূর্তেই ঝাঁপিয়ে পড়া জলের ঢেউ-যে বুজে যায়, বেঁচে থাকার নিয়মে সেটাই শেষ সত্যি হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘরবাড়ি, জমি বাগান, আত্মীয়তা অথবা ভালোবাসা যা একটা মানুষ বুক ভরে ভালবাসে জীবন ধরে তার আয়ু কতদিন এমন ভাবনা সচরাচর আসে না। যারা পড়ে রইল তাদের হাহুতাশের সময় খুব কম,কারণ মানুষ ভুলে যেতে বড় ভালবাসে। "
― Samaresh Majumdar , সাতকাহন: দ্বিতীয় পর্ব (সাতকাহন #2)
2 " মনোরমা পাশ ফিরে তাঁর শীর্ণ হাত বাড়িয়ে নাতনিকে জড়িয়ে ধরলেন । লোমচর্ম শরীরেও যে উত্তাপ থাকে তা দীপাবলীকে আশ্বস্ত করলো । তার মনে হলো বাইরের পুরুষদের সঙ্গে লড়াই করলেই যা পাওয়া যায়না নিজের মনের অন্ধকার সরালে তা পাওয়ার পথ পরিষ্কার হয় । সে মনোরমাকে আঁকড়ে ধরল । দীর্ঘ বয়সের ব্যবধান স্বত্তেও পরস্পর যেন একাত্ম । "
― Samaresh Majumdar
3 " একটি একা মেয়ে ইচ্ছে করলেই বাজার যেতে পারে, ডাক্তার এর সঙ্গে দেখা করে ওষুধ আনতে পারে । কিন্তু এসব করণীয় কাজ কেউ আন্তরিকতার সাথে করে দিলে একধরনের আরাম হয় । মনের আরাম । অলোকের কথা মনে পড়ে গেল তার ।ইচ্ছে করলেও মানুষটাকে ভুলে থাকতে পারেনা সে । সম্পর্কে যতই মতবিরোধ হোক, মানুষের সঙ্গে থাকার একধরনের যে সাহচর্যের আরাম আছে --- এ সবই এই একজীবনের জন্য মনের গায়ে গাঁথা হয়ে রইলো । অলোক আর কিছু না হোক খুব ভালো বন্ধু হয়েও তো থাকতে পারত । "
4 " বাচ্চা নিতে একটুও আপত্তি ছিলনা দীপাবলীর । পরে অলোক নিজেই ঠিক করলো আরো বছর দুয়েক অপেক্ষা করবে সে । আরেকটু ভালোভাবে গুছিয়ে নিত চায় সব । এখন সেসব পালা চুকে গেছে ।আজ দীপাবলীর হঠাৎ মনে হলো তার সামনে শুধুই শুন্যতা ।এ জীবনে আর কখনই শিশুর জননী হতে পারবেনা সে । কে জানে হয়ত তার ভেতরে একটা লজ্জাকর অক্ষমতা ছিল, যা প্রকাশ পেলনা এ জীবনের মত । "
5 " মৃত্যু কি সহজ, কি নিঃশব্দে আসে অথচ মানুষ চিরকালই জীবন নিয়ে গর্ব করে যায় ------ "
6 " অনিমেষ, অবিশ্বাস করে ঠকার চেয়ে বিশ্বাস করে হারানো অনেক ভালো। "
― Samaresh Majumdar , উত্তরাধিকার (অনিমেষ, #১)
7 " ভালোবাসা প্রতিমুহূর্তে প্রতিপালিত হতে চায়। তাকে আগলে রাখতে হয়। "
― Samaresh Majumdar , সাতকাহন (সাতকাহন #১)
8 " আমাকে কেউ যদি চোখ দিয়ে রেপ করে খুশি হয় আমি শুধু তাকে করুণা করতে পারি, তার বেশী কিছু না। পুরুষ মানুষ যে কত খারাপ হতে পারে তা আমার চেয়ে বেশী কেউ জানে না দীপাবলী। "
9 " বিদ্রোহ করতে গেলে নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হয়। নিজেকে প্রশ্ন কর তুমি তার কতটা উপযুক্ত। "
10 " আচ্ছা, অতীত কেন উদার হতে পারে না! কেন সে এমন ভাবে রক্তাক্ত করে চলে সমানে। "